প্রাকৃতিক ভাবে নতুন চুল গজানোর উপাই

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারপ্রাকৃতিকভাবে নতুন চুল গজানোর জন্য বেশ কিছু উপায় আছে, যা স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকর হতে পারে। তবে, মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি মানুষের চুলের ধরন আলাদা, এবং যে উপায় এক ব্যক্তির জন্য কার্যকরী।


পেজ সূচিপত্র: প্রাকৃতিক ভাবে নতুন চুল গজানোর উপাই বিস্তারিত জানুন।

চুল পড়া এবং তার কারণ

চুল পড়া একটি অন্যতম স্বাভাবিক বিষয়, কিন্তু প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টির বেশি চুল পড়া উদ্বেগজনক হতে পারে। নিচে চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হলো:
১. শারীরিক ও স্বাস্থ্যগত কারণ:
জেনেটিক্স বা বংশগত কারণ: জেনেটিক্স অর্থাৎ বংশগত কারণ যদি হয়ে থাকে তবে চুল পড়া উত্তরাধিকার সূত্রেই হয়ে থাকে।
হরমোনের সমস্যা: চুল পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে হরমোন সমস্যা, যথা অসামঞ্জস্যতা, পলিসিস্টিক, ওভারি সিনড্রোম, মেনোপজ ইত্যাদি।
পুষ্টির অভাব: অনেক সময় পুষ্টির অভাবে চুল দূর্বল হয়ে যায় যেমন আইরন, জিংক,ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন উল্লেখযোগ্য।
মানসিক চাপ: চুল পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক যা বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে হয়ে থাকে।
২. জীবনযাপন ও বাহ্যিক কারণ:
অতিরিক্ত হিট এবং কেমিক্যাল ব্যবহার: চুল পড়ার অন্যতম কারণ হলো চুলে কালারিং করা এবং ব্লো ড্রাই করা।
অনিয়মিত চুল পরিষ্কার করা: চুল পড়ার একটি কারণ হতে পারে ধুলো ময়লা জমে চুলের গোড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া।
অতিরিক্ত টাইট চুল বাধা: অনেক সময় শক্ত অথবা টাইট করে চুল বাধার কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়।
অপর্যাপ্ত ঘুম: সময়মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়ার কারণে চুলের বৃদ্ধি কমে যায়।

প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের বৃদ্ধি

চুলের বৃদ্ধি করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় নিম্নে দেওয়া হলো:
১. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ:
পুষ্টিকর খাবার চুলের বৃদ্ধিতে অধিক কার্যকরী। ডাল মাছ ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা। ভিটামিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ যথা ভিটামিন A, C, D এবং E এছাড়াও মুরগির মাংস পালং শাক ইত্যাদি আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়া চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২. মাথার ত্বক মাসাজ
বিভিন্ন ধরনের তেল যথা নারকেল তেল, অলিভ অয়েল তেল, দিয়ে চুলে এবং বাদাম তেল দিয়ে চুলে মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা চুল বৃদ্ধিতে অধিক কার্যকরী।
৩. প্রাকৃতিক হেয়ার প্যাক ব্যবহার
অলিভ অয়েল তেল এবং ডিমের সাদা অংশ ৩০ মিনিট ধরে চুলের সাথে মিশিয়ে ধুয়ে ফেলা। এছাড়াও আমলকি এবং মেথি পেস্ট তৈরি করে চুলের গোড়ায় লাগানো যা চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। আবার সপ্তাহে ২-৩ বার পেঁয়াজের রস লাগালে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ছাড়াও বেশি বেশি পানি পান করা শারীরিক স্টেট কমানো এবং নিয়মিত চুলের পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চুলের যত্ন নেওয়ার প্রাথমিক ধাপ 

১. চুল পরিষ্কার রাখা
শ্যাম্পু করা: চুলের ধুলোবালি এবং তেল পরিষ্কার করার জন্য সপ্তাহে ২-৩ বার সালফেট-যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করার কারণে চুলের শুষ্কতা দেখা যেতে পারে ।
কন্ডিশনার ব্যবহার: প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর চুলের ডগায় কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, এটি যেমন চুল ভাঙ্গা রোদ করে তেমন চুল চুলনরম এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
২. তেল মাসাজ করা
বিভিন্ন ধরনের তেল দিয়ে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার চুলে মাসাজ করুন যেমন বাদাম তেল অলিভ অয়েল তেল এবং আমলকির তেল, এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে তেল গরম করে ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধি ঘটে।
৩. সঠিকভাবে চুল আঁচড়ানো 
নরম অথবা প্রশস্ত দাতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না কারো নিতে চুল পড়া বেশি হয়। আবার নিচের দিক থেকে আস্তে আস্তে চুল আঁচড়াতে হবে যাতে চুল জটমুক্ত থাকে।
৪. চুলের পুষ্টির যত্ন: চুলের পুষ্টিতে বেশি বেশি পানি পান এবং প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন ভিটামিন A, B,
C, D, এবং E।


প্রাকৃতিক উপাদান এবং চুলের গঠন

চুলের গঠনে প্রাকৃতিক উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত চুলের গঠন তিনটি ভাগে বিভক্ত যথা:
১. কিউটিকল: চুলের বাইরের স্তরই হল কিউটিকল, যা চুলকে সুরক্ষা দেয় এবং চকচকে রাখতে সাহায্য করে।
২. কটেক্স: চুলের প্রধান অংশই হল কর্টেক্স। এটি মূলত প্রোটিন এবং মেলা নিনের সমন্বয়ে চুলের রং ও স্থিতিস্থাপকতা নির্ধারণ করে।
৩. মেডুলা: মূলত এটি চুলের কেন্দ্রস্থল, যা মোটা এবং মোচড়ানো চুলে থাকে।

প্রাকৃতিক উপাদান ও তাদের প্রভাব
১. নারকেল তেল: এটি চুলের ভেতরে প্রবেশ করে তখন আদ্রতা ধরে রাখে যা চুল মজবুত ও নরম করে।
২. এলোভেরা: মূলত খুশকি প্রতিরোধ এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
৩. আমলা: প্রাকৃতিক রং ঠিক রাখে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৪.মধু: এটি মূলত চুলের আদ্রতা এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৫. পেয়াজের রস: চুল পড়া রোধ করে এবং নতুন চুল গজায়।
৬. মেহেদী: সাধারণত চুলের রং বজায় রাখে এবং স্কেল ঠান্ডা বা শীতল রাখে।

চুলের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস 

চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সঠিক খাদ্যাভাস অত্যন্ত জরুরী জরুরী। চুল বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যে পুষ্টি উপাদান এবং এর উৎস দেওয়া হল দেওয়া হলো:
১. প্রোটিন: কেরাটিন হলো চুলের প্রধান উপাদান, যেটা এক ধরনের প্রোটিন। পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণের ফলে চুলের বৃদ্ধি হয় এবং চুল পড়া রোধ হয়।
প্রোটিনের উৎস গুলো হলো যথাক্রমে ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, দুধ, অথবা দুগ্ধ জাত খাবার, বাদাম, খেলে ও বীজ জাতীয় খাবার ইত্যাদি।
২. আয়রন: আয়রন সাধারণত রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে যা চুলের গঠনের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
আয়রনের উৎসগুলো হলো: পালং শাক, এবং অন্যান্য সবুজ শাক, মাংস, মসুর ডাল, বাদাম এবং কিসমিস ইত্যাদি প্রভৃতি।
৩. ওমেগা-৩ অ্যাসিড: সাধারণত চুলের খুশকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং চুলের আদ্রতা ধরে রাখে।
এর উৎসগুলো যথাক্রমে:সেমন মাছ, এবং টুনা মাছ, আখরো ট, ফ্লাক্স সিড,এবং চিয়া ইত্যাদি।


৪. বায়োটিন (ভিটামিন বি৭): মূলত চুলের বৃদ্ধি করে চুল ভাঙ্গা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বন্ধ করে। উৎসগুলো যথাক্রমে বাদাম মিষ্টি আলু কলা ডিমের কুসুম প্রভৃতি ইত্যাদি।
৫. ভিটামিন এ: মূলত চুলের স্কাল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এর উৎস গুলো যথাক্রমে গাজর মিষ্টি আলো কুমড়া পালং শাক ইত্যাদি প্রভৃতি বিশেষ।
৬. ভিটামিন সি: তো আয়রন শোষণ করে এবং চুলের গঠন মজবুত করে।
ভিটামিন সি-এর উৎস গুলো হল কমলালেবু লেবু টমেটো ব্রোকলি ইত্যাদি।
৭. পানি: পানি চুলের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এজন্য বেশি বেশি পানি পান করা খুবই প্রয়োজন।

খাদ্যাভাস মেনে চলার কিছু টিপস:
অতিরিক্ত চিনি এবং ফাস্টফুড থেকে দূরে থাকতে হবে।
সবুজ শাকসবজি এবং ফল পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে হবে।
অতিরিক্ত ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকতে হবে ইত্যাদি।

ঘরোয়া পদ্ধতি ও টিপস

ঘরোয়া পদ্ধতি ও টিপস, চুলের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ সুস্থ উজ্জ্বল ও সুন্দর চুল আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। চুলের যত্নের জন্য অনেকেই বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করে তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিতে পারলে চুল অনেক ভালোফলাফল পাওয়া যায়। ঘরোয়া পদ্ধতি যেমন নারকেলের তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী,

এটি চুলের গোড়া শক্তিশালী ও মজবুত এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে সপ্তাহে দুই থেকে চারদিন নারকেলের তেল দিয়ে মাথার তোকে মালিশ করুন পরে হালকা গরম পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন তাতে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া পদ্ধতি অনেক আগে থেকেই চলে আসছে অনেকে ডিম দিয়ে চুলের যত্ন করে, ডিম চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার,

ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন যা চুলের রুক্ষতা কমিয়ে চুলকে মসৃণ করে তুলে একটি ডিম ভেঙে তার সাথে একটু মধু মিশিয়ে চুলে 10 থেকে 15 মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তারপরে রেজাল্ট দেখুন চুল কতটা সুন্দর হয়। চুলের জন্য এলোভেরা এলোভেরা চুলের জন্য খুবই উপকারী ঘরোয়া পদ্ধতি অ্যালোভেরা জেল মাথায় ভালো হবে মাখন এবং ২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুলের সাইন বৃদ্ধি করে।

চুলের যত্নে নিয়মিত অভ্যাস

চুল স্বাস্থ্যকর মজবুত এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য নিয়মিত কিছু অভ্যাস প্রয়োজন। নিচে প্রয়োজনীয় কিছু অভ্যাস দেওয়া হলো যা চুলের জন্য খুবই উপকারী:
সপ্তাহে ২-৩ বার ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে হবে বা ধুতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে যেন চুলের রুক্ষতা বেড়ে না যায়।

সপ্তাহে ২-৩ বার বিভিন্ন ধরনের তেল যেমন নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল তেল, বাদাম তেল, ইত্যাদি দ্বারা চুল মাসাজ করতে হবে।
শ্যাম্পু করার পর চুলের ডগায় কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও সঠিকভাবে চুল আঁচরাতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে ভেজা চুল যাতে না হয় কারণ এতে করে চুল ভেঙ্গে যায়।
সর্বোপরি স্বাস্থ্যজ্জল চুল পেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

চুলের বৃদ্ধি নিয়ে ভুল ধারণা

চুলের বৃদ্ধি নিয়ে ভুল ধারণা অনেকেই চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের বিদেশি পণ্য বা ট্যাবলেট ব্যবহার করে কিন্তু চুলের বৃদ্ধির জন্য কোন অলৌকিক বা অত্যন্ত দ্রুত ফল পাওয়া যায় না। চুলের বৃদ্ধি ধীরে ধীরে ঘটে এবং এটি নির্ভর করে আপনার শরীর শারীরিক স্বাস্থ্য পুষ্টি হরমোনের সক্ষমতা এবং এবং আরো অন্য উপাদানের ওপর। এর বৃদ্ধি কোন এক দিনে কাজ নয় এটি ধৈর্য ও সময়ের ব্যাপার একটি ধীর এবং প্রাকৃতিক ভাবে ধীরে ধীরে কাজ করে।

তবে চুলের বৃদ্ধি নিয়ে আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে যেগুলি সাধারণত প্রচলিত আছে এই ভুল ধারণা গুলির কারণে আমরা অনেক সময় অপচয় করে চুলের ক্ষতি করে ফেলি ফুলের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানই হলো সবকিছু অনেকেই মনে করেন যে চুলের বৃদ্ধি বা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক উপাদান যেসব (নারকেল তেল মধু এলোভেরা জেল) ব্যবহারে মাধ্যমে চুল অনেক ভালো থাকে।

অনেকেই মনে করে চুল কাটার পরে আবার নতুন করে বেশি চুল গজাবে এটি একটি খুব প্রাচীন ভুল ধারণা আবার অনেকেই মনে করে চুল কেটে ফেললেই তা দ্রুত বাড়তে শুরু করে অনেকে আছে যারা চুলে রং করে চুলে রং করলে চুলের বৃদ্ধি কমে যায় অনেকে মনে করে যে চুলের রং করলে চুলের বৃদ্ধি হয় কিন্তু এটি ভুল ধারণা চুলে রং করলে চুলের বৃদ্ধি কমে যায় এবং চুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে এটি চুলের বৃদ্ধি সরাসরি প্রভাবিত করে না।



চুলের গজানো নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা

চুলের গজানো নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা গুল, অনেকেই বিশ্বাস করে, চুল কাটলে চুলের বৃদ্ধি অতি তাড়াতাড়ি বাড়ে এই ধারণাটি অনেক পুরনো এবং চুল বৃদ্ধির সাথে চুল কাটার কোন সম্পর্ক নেই কেবলমাত্র চুলের ক্লান্ত পরিষ্কার ও সুন্দর দেখায় কিন্তু চুল কাটলে চুলের বৃদ্ধির কোন পরিবর্তন আসে না চুল গজানোর জন্য বেশি বেশি তেল ব্যবহার করার প্রয়োজন তবে এটি ভুল ধারণা।

চুল বৃদ্ধির জন্য তেল ব্যবহার করা অবশ্যই ভালো কারণ তেল চুলে প্রাকৃতিক আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং চুলকে গোড়া থেকে মজবুত ও শক্তিশালী করে। ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে তবে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে জমে যেতে পারে। যার কারনে পরে চুলের বৃদ্ধি বাধা সৃষ্টি করতে পারে তেল ব্যবহার করলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে যাতে অনেক বেশি না হয়ে যায়।

চুল গজানোর জন্য প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যেমন (নারকেলের তেল এলোভেরা মধু ডিম) এগুলো চুলের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান। গুলো ব্যবহারে চুল গোড়া থেকে মজবুত ও শক্তিশালী হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে অনেকেই মনে করে চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কোনো ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজন তবে এটি ভুল ধারণা চুলের স্বাস্থ্যর জন্য প্রাকৃতিক উপাদান খাদ্য ভ্যাস এবং অত্যন্ত যত্নের মাধ্যমে কাজ করে।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

অনেকেই মনে করেন, চুল দ্রুত গজানোর জন্য বিশেষ কোনো ঔষধ ও ভিটামিন খাওয়া প্রয়োজন, এটি একটি ভুল ধারণা ফুলের সঠিক যত্ন এবং ধৈর্যের মাধ্যমে চুল বৃদ্ধি হয় স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে ব্যবহার করতে হবে যেমন তেল শ্যাম্পু কন্ডিশনার ব্যবহার চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভুল ধারণা গুলি আমাদের সঠিক যত্ন এবং স্বাস্থ্যরক্ষায় বাধা সৃষ্টি করে থাকে।

এইসব প্রচলিত ভুল ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে যে চুল কেটে দিলে তা দ্রুত বাড়তে শুরু করে টি ভুল ধারণা চুল কেটে ফেলা কেবলমাত্র চুলকে সুন্দর এবং সুস্থ দেখাতে পারে তবে এর মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব নয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আশিক টেক আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটা কমেন্টে রিভিউ করা হয় নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url